বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র নেতৃবৃন্দ বন্যা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, করোনা-মহামারির মধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিয়েছে। মানুষের দুর্ভোগ অন্য যেকোনো সময়ের বন্যার চেয়ে এবারের বন্যায় অনেক বেড়ে গেছে। বন্যা মোকাবিলায় সরকারের আগাম প্রস্তুতি না থাকায়, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণও অনেক। সরকারের যথাযথ উদ্যোগের অভাবে মানুষের হাহাকার বাড়ছে।
আজ ৩১ জুলাই পার্টির ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স টিমে’র ভার্চুয়াল সভায় সিপিবির নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য লক্ষ্মী চক্রবর্তী, রফিকুজ্জামান লায়েক, মিহির ঘোষ, শাহীন রহমান, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আহসান হাবিব লাবলু, রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. ফজলুর রহমান।
সভার শুরুতে কমরেড রতন সেনের ২৮তম হত্যা দিবসে তাঁর বিপ্লবী স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সভায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, করোনার মধ্যে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে বন্যা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ৩১ জেলা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার ভয়াবহতা বাড়ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঢাকার নিন্মঞ্চল ডুবে গেছে। কয়েক লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারের প্রাক-প্রস্তুতি থাকলে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হতো। কিন্তু আমলাদের ওপর নির্ভরশীল সরকারের যথাযথ উদ্যোগের অভাব পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অনিয়মের কারণে সরকারের সীমিত ত্রাণও লুট হয়ে যাচ্ছে।
সিপিবির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বন্যার্ত মানুষ বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারকে ত্রাণ, আশ্রয়, পুনর্বাসন ও চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি-সামাজিক সংগঠন এবং বিত্তবান মানুষকে বানভাসী মানুষ বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সিপিবির বিভিন্ন স্তরের কমিটিগুলোর প্রতি আহবান জানান।
1,128 total views, 2 views today