দুর্ভাবনার দ্বিতীয় অধ্যায়।
নিপুন নগরী
”কিরে খোকা বলি চাকরিটা হলো?” ”এক সপ্তাহ পড়ে দেখা করতে বললো”
”ওহ, দুপুরে কিছু খেয়েছিস খোকা?” ”হুম ভাত, মাছ, ডাল, সবজি। তবে রান্না ভালো
ছিলো না তেমন।’
”আর ‘টিউশন ফিস’ দিলো আজকে? আমার
পেটের ব্যাথাটা বেড়েছে।
“ওষুধ কিনে নিয়ে এসেছি মা।”
“তোর আব্বুর পেনশনের টাকা আর কত বাকী
আছে ব্যাংকে খোকা?”
কথাটা শুনে চিন্তায় পড়ে গেলো ফরহাদ। পেনশনের টাকার প্রায় সিংহভাগ বাবার চিকিৎসা;
আর তার ফেলে যাওয়া ব্যাংক লোন পরিশোধ করতেই চলে গেছে আর অবশিষ্ট টাকায় মাসে মাসে বাসা ভাড়া আর ছোট বোনের পড়ার খরচ দিতেই ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।
“তা আছে এখনো চার লাখ টাকা তো হবেই।”
“তা দিয়ে স্মৃতির বিয়েটা তো কোনরকম তুলতে
পারবো; বলে ভরসার একটি মৃদু হাসি দিলেন
ফরহাদের মা জাহানারা হাফিজ ।”
ভরসার এই হাসিটুকু ফরহাদের ক্লান্তি অবসাদ আর দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে আনন্দ অশ্রুর কারন হয়ে দাড়ালো। কোন রকমে অশ্রুসিক্ত ধরা গলায় বললো।
“তা আমার বোনটাকে ভদ্রলোক সুখে রাখতে পারবেন তো।”
জানানারা হাফিজ কোন রকম বললেন;
‘মনে তো হয় খুব পাড়বে। বলে দরজার দিকে তাকালেন।”
বসার রুমের দরোজার আড়ালে দাঁড়ানো ফরহাদের ছোট বোন স্মৃতি খুব লজ্জা আর অভিমান নিয়ে বললো;
“আমি তোমাদের ছেড়ে যাবো না কোথায়!”।
319 total views, 2 views today