বিভিন্ন মামলায় আসামিদের জামিন দেয়া ও বাতিল করা সংক্রান্ত বিষয়ে নিম্ন (বিচারিক) আদালতকে চার দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে কোনো আসামি যদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তবে, অধস্তন (বিচারিক) আদালত জামিনের সুস্পষ্ট অপব্যবহার ব্যতীত সেই জামিন বাতিল করতে পারবেন নাসহ চার দফা রায় দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত রায়টি প্রকাশ করা হয়। এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায়ে সাক্ষর করেন।
জামিন সংক্রান্ত চার দফা নির্দেশনা:
১. হাইকোর্ট থেকে কোনো আসামি যদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামিনে মুক্তি পান, তবে অধস্তন (বিচারিক) আদালত জামিনের সুস্পষ্ট অপব্যবহার ব্যতীত সেই জামিন বাতিল করতে পারবেন না।
২. নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামিনে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তি যদি অধস্তন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেন, শুধু মাত্র হাইকোর্টের জামিনের এক্সটেনশন অর্ডার না থাকার কারণে অধস্তন আদালত জামিন বাতিল করে জেলহাজতে প্রেরণ করতে পারবেন না।
৩. নির্দিষ্ট সময়ে জামিন পাওয়ার পর যদি সেই সময় পার হয়ে যায় তবে হাইকোর্টে আসামি যেই রুল বা আপিলে জামিন পেয়েছেন সেই রুল বা আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
৪. অধস্তন আদালত হাইকোর্টের দেয়া জামিন কোন অবস্থাতেই (হাইকোর্ট যেই রুলে বা আপিলে জামিন দিয়েছেন তা খারিজ না হওয়া পর্যন্ত) বাতিল করতে পারবেন না, তবে যদি হাইকোর্ট কোন শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন, সেই শর্ত ভঙ্গ করলে জামিন বাতিল করা যাবে।
আদালতের রায়ে উল্লেখিত এসব নির্দেশনার ফলে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে, নিম্ন আদালতের বিচারকরাও স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এসব নির্দেশনা মেনে কাজ করবেন। আগে বিভিন্ন মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনের মেয়াদ বর্ধিত না হওয়ায় জামিনের কোনো অপব্যবহার না করলেও আসামিদের জেলে যেতে হতো। এ রায়ের ফলে বিচারপ্রার্থীদের আর সে ভোগান্তি থাকল না।
Criminal Appeal(H) 6513/2019 | Md. Ibrahim Vs. The State |
630 total views, 1 views today