বাজেট সংশোধন করে শ্রমিকের রেশন, আবাসন, চিকিৎসার জন্য বিশেষ বরাদ্দ, শ্রমঘন এলাকায় করোনা পরীক্ষা ও আইসোলেশন কেন্দ্র স্থাপন এবং শ্রমিক ছাঁটাই, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও লে-অফ বন্ধের দাবিতে জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে আজ বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিকী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আব্দুল হাই শরীফ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব এইচ রবিউল চৌধুরী, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু হাসান টিপু, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি অঞ্জন দাস, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মোঃ শাহীন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হুমায়ুন কবীর।
নেতৃবৃন্দ বলেন, উচ্চ বিলাসী, ঋণ নির্ভর, ধনী তোষণের বাজেট পরিবর্তন করে শ্রমিকের রেশন, স্বাস্থ্য সম্মত আবাসন, বিনা মূল্যে চিকিৎসাসহ শ্রমজীবী মানুষের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ করতে হবে। এবাজেটে যেভাবে করের বিন্যাস করা হয়েছে তাতে ধনীরা উপকৃত হবে গরীব সাধারণ মানুষের পকেট কাটা যাবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যখাতে দৃশ্যমান বরাদ্দ বাড়ানো দরকার ছিল। শ্রমিককের শ্রম-ঘামে দেশের
অর্থনীতি চলে। তাদের সুস্থ্য ও বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। তাই প্রত্যেক শ্রমঘন এলাকায় করোনা পরীক্ষা ও আসোলেশন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনাকালেও অব্যহত শ্রমিক ছাঁটাই চলছে। শোভন গ্রুপে দুই শতাধিক শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। ওয়েস্ট নীটওয়ার, মুনলাক্স কম্পোজিট, পোলস্টার গার্মেন্টসে ব্যাপক ছাঁটাই হয়েছে। ফকির, অন্তিম, আহসান গার্মেন্টসে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার, হয়রানি, বরখাস্ত চলছে। বর্ণালী ডাইং বন্ধ। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বন্ধ কারখানা চালুর দাবি করেন।
471 total views, 1 views today