আজ সারা বিশ্ব থেকে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে নিয়ে আসছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, মেগা সিটি শহরগুলিতে উড়াল সেতু, বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ সুবিধা ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মান, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠ ছাড়াও মধ্যাকাশে বাংলাদেশের অংশিদারিত্ব প্রতিষ্ঠা সহ আরো অন্যান্য অর্জনের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়ন এবং বর্হিবিশ্বের কাছে এদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। যা একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কারনে একাজগুলি করা সম্ভব হয়েছে। সততার ঘাটতি পূরণ করতে হলে এই মূহুর্তে সৎ মানুষদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে। ভাল মানুষেরা রাজনীতি থেকে দুরে সরে গেলে খারাপ লোকেরা রাজনীতির মঞ্চ দখল করবে। সংসদ সদস্য-মন্ত্রী যা বর্তমানে চলমান। তাঁরা রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা করবে কিন্তু তাতে দেশের মানুষের ভাল হবে না।
আমার কথা হল, রাজনীতি একটি দেশ ও জাতির সুখ-শান্তি সমৃদ্ধির সবচেয়ে বড় নিয়ামক। কারন রাজনীতি রাষ্ট্র ক্ষমতার চালক, সৎ রাজনীতি একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের পথকে সুগম করে। যার মধ্যে আর্থিক উন্নয়ন, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা, জনগনের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার অতপ্রতভাবে জড়িত। কিন্তু কিছু অনভিজ্ঞ হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসা, যা বর্তমানে প্রচলিত হাইব্রীড রাজনীতিকদের কারনে আজ দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্জনের সিংহভাগ সুনাম-ই নষ্ট হচ্ছে। তারা নীতি ও সস্তার কিছু বুলি আওড়িয়ে জনগনকে বোকা বানায়। গণতন্ত্র, নির্বাচন, জনগন, উন্নয়ন-এসব শব্দগুলি তাঁদের মুখে অহরহ খয়ের মতো ফুটতে থাকে। তারা যদি উপরোক্ত চারটি বিষয়ে সজাগ হতেন, তাহলে বঙ্গবন্ধুর এই দেশ আরো আগেই সোনার বাংলাদেশ হতো। প্রানপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তারপরেও চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বারবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, তারপরেও কিছু স্বার্থান্বেষী ও হাইব্রীড নেতারা চোরের মত তাদের কাজ ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে।
এখানে বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রকৃত ত্যাগী আওয়ামীলীগারদের নেতৃত্বে আনতে হবে। দূর্দিনের সাহসী,সৎ নেতা কর্মীরাই সবখানে কাজ করবে। এখানে “ভাইলীগ” “এমপিলীগ” এর কোন সুযোগ নেই। যখন ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন এবং ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের পৌড় খাওয়া নেতা কর্মীদের সহযোগীতায় আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছিল তখন কিন্তু এসমম্ত হাইব্রীড ও সুবিধা ভোগীদের প্রয়োজন হয়নি। যারা উড়ে এসে জুড়ে বসে, তারা কিন্তু অপকর্ম করবেই। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সাহেদ, পাপিয়াদের মত স্বার্থ হাসিল করবে। আবার দিন শেষে তারা উড়ে যাবে। তাদেরকে কখনই ধরে রাখা যায় না। এদের বলে “সাইবেরিয়ান বার্ড”। এদের হাত থেকে আওয়ামী রাজনীতিকে উদ্ধার করতে হবে।
জয়বাংলা……. জয়বঙ্গবন্ধু।
——— বীর মুক্তিযোদ্ধা
আলহাজ্ব মোঃ জয়নাল আবেদীন খান
সাবেক এম,পি-৭৩ মেহেরপুর-১
651 total views, 1 views today