১।
বিনির্মাণ
— আহমেত কামাল
আমার কোন কিছু নেই!
নেই শরীর
নেই দাবনার হাসি!
অন্যের শরীরে ঝুলে থাকতে থাকতে
আমার কোন কিছুই খুঁজে পাইনা
বিষণ্ন মনগড়া
আর
শুকনো রোদের হাসি ছাড়া কিছুই নেই আমার
আয়নায়!!
২ আরশিনগর
—— আহমেত কামাল
বিষণ্ণতায় ভরে আছে বৃষ্টিমাখা দুপুর!
হাত পকেটে রেখেই –
ঘুরে এলেম ধর্মপুর, বেনামী সম্পর্কেরও খোঁজ নিলেম
জলসমৃদ্ব চোখে!
খুব মনে পড়ে!
সময়, অসময়ে
আর মনে পড়লেই সাইজির দ্বারস্থ হই, গেয়ে উঠি
ফরিদা পারভীনের কন্ঠে গাওয়া
— বাড়ির পাশে আরশিনগর,,,,,,,
অথবা খাঁচার ভেতর অচিনপাখি,,,,,,,,,
গাইতেও ভালো লাগে তখন সব!
ভেজা কন্ঠ, ভেজা চোখ
উথলে উঠে, কোথাও জড়তা থাকে না , আর তাই- গাই
একটু হলেও শান্তি খুঁজে পাই।
৩
ধরে এলে
— আহমেত
মনধরে এলে অনেকটা অগ্রগামী হই
কারো যাতন সহকারে।
সময় তো একই হয়ে ধরা দেয়না সবার মনে
যতটুকু ধরে
মেনে নিও স্বভক্তিতে।
কেইবা জানে মানুষ বাঁচে কতক্ষণ!
রাত যদি কিছু চেয়ে বসে উপোষ রেখনা পাকস্থলী,
ভরে নিও
জোড় ক’রে একটা আংটি যেমন অনীহা হয়ে ঢুকে।
বয়স তো – আর
ফেরত আসে না?
যে ভাটায় সর্বদাই হাঁটে। তাকে জোয়ারে টানা যায়না।
এখন যে শ্রাবন তোমার দুয়ারে তাকে আজই ক্যালেন্ডার বন্দী ক’রে
মার্কার করে নেও, যেন আফসোস না জাগে।।।।
327 total views, 1 views today