আরাধনা
নিপুন নগরী
|অন্তর প্রলয়ে-০১|
আসো শুরু করা যাক, মস্তিষ্কের ভেতরে যে বারুদ জ্বলে,রক্তের স্বাদ কিছুটা নোনা আর লবণাক্ত জলে
সুন্দর একটা নদী বানাবো,
চোখের কোটর বেঁয়ে নেমে আসা স্রোত
মুক্তি অথবা মৃত্যুর কথাগুলো –
দীর্ঘশ্বাস ফেলে দীর্ঘ রাত গুলোর সুচনা করে।
জন্মাবধি তার পায়ে ঢেলে দিবো মৃত্যুস্রোত।
আঁধারের গভীরে পিঙ্গল শরীরটুকু;
বয়ে নিয়ে যাবো পৃথিবীর কাছে!
ঐশ্বরিক তন্দ্রালঘু মুখ এঁকে –
বলবো অন্তরের কথা।
রাষ্ট্র করা সকল মিথ্যের জীবনে,
র’টে দিবো মৃত্যু, কারাবাস।
যে মৃত্যু জন্মের কথা বলে!
আসো গোপনে পান করো নোনা বিষ।
নিকেষ কালো গভীর রাত্রির জন্মো-উৎসবে
অন্ধত্ব লালন করে বয়ে বেড়ায় শত আয়ু।
যে বিষে অন্ত্রের সকল পাপ গুলো মুছে দিবে-
পাপ হীন নতুন মানুষে; অন্তরের সুখ ।।
২.
‘জমিনের আকাশ’
নিপুন নগরী
|অন্তর প্রলয়ে- ০২|
মুখ তবু ছলনার দরবার, যে কথা-
বলার ছিলো তা অবরুদ্ধ;
শেকলের পাঁজরে ভাঙ্গা তরবারীর-
শানে রচিত জিঞ্জির ভেঙ্গে উঁকি দিয়ে যায়
আবদ্ধ কারাগার!
জিঞ্জির ভেঙ্গে ফেলো, রুদ্ধ দাঁড়ের ‘অভিপ্রায়’।
দরবারে-দরবারে ঝুলে ‘চিকা’ মারার উৎসব!
কবির পিঞ্জিরা সাজায় বাসরের ‘উল্লাস’।
মৃত প্রায় স্রোতের বিপরীতে বেহুলা স্মৃতির-
দংশন,দখলে শেষ হয় অবলা ‘সংসার’।
এ’বেলা ঘর হলো না, দ্বিমুখী দ্রোহের ত্রাস-
এসে ভর করে গরীবের উঠনে।
আমাকে বাঁচতে দেও,খুলে দেও পথ!
অবরুদ্ধ কারাগার ভেঙ্গে ত্রাসের বৈঠক,
দহন তুলে দেও; এ ‘সংসার’ জমিনে ।।
341 total views, 1 views today