Congratulations❣️Joseph R. Biden, the 46th USA President.
Congratulations❣️ Kamala Harris as USA Vice President.
আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কিছু তথ্যঃ-
“বাবার একটা কথা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা”
তোমাকে কতবার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো, সেটা বড় কথা নয়, কত দ্রুত তুমি উঠে দাঁড়াতে পারলে, মানুষ হিসাবে সেটাই হবে তোমার সাফল্যের পরিচয়।
-জো বাইডেন
আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে যাবার যে স্বপ্ন বহুদিন থেকে লালন করে আসছেন, সেই স্বপ্ন পূরণ হলো!!
তাঁর স্বপ্ন ছিলো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন।
অবশেষে ২০২০ সালের নির্বাচনের মনোনয়ন লাভ করেন। সেখানেও অনিশ্চয়তা ছিলো। পেতে পেতেই যেনো হেরে যাচ্ছিলেন। তবে একেবারে শেষ মুহুর্তে এসে মনোনয়ন পান। এমনই হাল না ছাড়া মানুষ জো বাইডেন।
“তিনিই আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন”
ক্ষমতায় এলে প্রথম দিন থেকেই দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ শুরু করে দেবেন। এ ওয়াদা করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন নির্বাচিত হলেন আমেরিকায় ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট। এবার তাঁর কাজ শুরুর পালা। গোটা বিশ্বের নজর এখন আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্টের দিকে। গোটা বিশ্বের প্রত্যাশা তিনি মানবিক সমাজ গড়ার কাজে আত্ননিয়োগ করবেন।
এবার এক নজরে জেনে নিন কে এই জো বাইডেন?
১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর জন্ম। পুরো নাম জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র। তবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত জো বাইডেন নামেই। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য জো বাইডেন দীর্ঘদিন ধরে অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করেছেন। এর পরেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ডেলাওয়ার অর্থাৎ নিজের রাজ্যে সবচেয়ে বেশিদিন সিনেটর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ৪৭ তম ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন জো বাইডেন।
বাবা জোসেফ রবিনেট বাইডেন সিনিয়র, মা ক্যাথরিন ইউজেনিয়া ফিনেগান। মা আইরিশ বংশোদ্ভূত। উত্তরপূর্ব পেনসিলভেনিয়ার স্ক্র্যানটনে বেড়ে ওঠেন তিনি। বাবা বাইডেন সিনিয়র ছিলেন ফারনেস ক্লিনার। তবে জীবনের বড় একটি সময় তাঁর কেটে গিয়েছে গাড়ির সেলসম্যান হিসেবে কাজ করে। ছোটবেলা থেকে প্রবল দারিদ্র দেখে বড় হয়েছেন জো বাইডেন। নিজের মানসিকতা দৃঢ় করতে বাবা-মায়ের অবদান এবং দারিদ্রকে অসংখ্যবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। যে দারিদ্র আর কঠিন জীবনযাপন তাঁকে সাহসী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে, তা অনেক সাক্ষাৎকারে অকপটে স্বীকার করেছেন বাইডেন।
স্ক্র্যানটনে সেন্ট পলস এলিমেন্টরি স্কুলে পড়াশোনা করেন বাইডেন। ১৩ বছর বয়সে পরিবার-সহ ডেলাওয়ারে যান তিনি। ছোটবেলা থেকে কথা বলায় সমস্যা ছিল বাইডেনের। এ জন্য স্কুলে সহপাঠীরা প্রায়ই তাঁকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করত। সেন্ট হেলেনা স্কুল, বার্চমেরে অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষকদের নজর কেড়েছিলেন ছিপছিপে কিশোর বাইডেন। ছোটবেলায় কথা বলতে গিয়ে আটকে যাওয়া শিশু বাইডেন আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট, নতুন আইকন।
জন এফ কেনেডির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম ভক্ত ছিলেন বাইডেন। ভালোবাসতেন ফুটবল খেলতে। ১৯৬১ সালের দিকে ধীরে ধীরে রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন। তখনই নেইলিয়া হান্টারের সঙ্গে পরিচয়, পরে প্রেম-পরিণয় ১৯৬৬ সালে। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে, জোসেফ, হান্টার, নাওমি।
আমেরিকার নব নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার কিছুঃ-
কমলা হ্যারিসের জন্ম ১৯৬৪ সালের ২০ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের অকল্যান্ডে। বাবা ডোনাল্ড জে হ্যারিস জামাইকান বংশোদ্ভূত আর মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান। কমলা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন ২০১০ সালে এবং দু’বছর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ৭৭ বছর বয়সী বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবচেয়ে বেশি বয়সী রাজনীতিক। যে কারণে প্রথম চার বছরের মেয়াদের বেশি তাঁর হোয়াইট হাউসে থাকার সম্ভাবনা কম বলেই অনেকে মনে করছেন। সে ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলার সম্ভাবনাই সবচেয়ে উজ্জ্বল বলছেন পর্যবেক্ষকরা। আপাতত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন আমেরিকার উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে।
মা শ্যামলা গোপালন হ্যারিসের মেয়ে কমলাদেবী হ্যারিস সংক্ষেপে কমলা হ্যারিস কখনওই তাঁর নিজের শিকড়কে ভোলেননি। সত্যি বলতে ভুলতে চানওনি কখনও। আত্মকথায় লিখেছেন, ‘শ্যামলা গোপালন হ্যারিসের মেয়ে– এই পরিচয়টুকুর থেকে বড় কোনও সম্মান পৃথিবীতে হতে পারে বলে আমি বিশ্বাসই করি না।’ রূপকথার মতো উথ্থান যাঁর জীবনে বার বার দেখা দিয়েছে, আসুন সেই কমলা হ্যারিস সম্পর্কেই কয়েকটি প্রায় না-জানা গল্প জেনে নেয়া যাক।
আমেরিকা যখন সিভিল রাইটস আন্দোলনে উত্তাল, তখনই আস্তে আস্তে বড় হচ্ছেন কমলা। বাবা-মা সেই ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে হাঁটতেন মিছিলে, জড়ো হতেন বিভিন্ন জমায়েতে। কমলা জানাচ্ছেন, তাঁর একেবারে ছোটবেলার ঝাপসা স্মৃতির মধ্যে আছে চারিদিকে অসংখ্য পা হেঁটে চলেছে সারিবদ্ধ ভাবে। আর সেই মিছিল থেকে নানা রকম স্লোগান উঠছে। মা শ্যামলা জানিয়েছিলেন তাঁর বড় মেয়েটি অর্থাৎ কমলার মুখে যখন সবে বুলি ফুটেছে, তখন সে মাঝেমাঝেই কান্নাকাটি করত আর কী চাই জিজ্ঞাসা করলে ঠোঁট ফুলিয়ে আধো আধো গলায় বলত, ‘ফিদম’।
তাঁদের দু জনের সার্থক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মেয়াদ পূরণ হউক।বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশের সাথে আমেরিকার সৌহার্দ্যপূর্ণ ভ্রাতৃত্ব বোধ ও সুমধুর সম্পর্ক অটুট হয়ে উঠুক।
মনোবল শক্ত করে লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে সফলতা আসে।কোন সম্ভাবনা কে অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই।
—— বীর মুক্তিযোদ্ধা
আলহাজ্ব মোঃ জয়নাল আবেদীন খান
সাবেক এম,পি-৭৩ মেহেরপুর-১
629 total views, 4 views today